প্রকাশিত: Sun, Jan 28, 2024 12:09 PM
আপডেট: Wed, Apr 30, 2025 12:35 AM

[১] সীমান্তে বিজিবি সদস্য হত্যাকাণ্ডে জাতিসংঘের তদন্ত চায় বিএনপি

রিয়াদ হাসান: [২] বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইসুদ্দিনকে বিএসএফ কতৃর্ক নির্মমভাবে গুলি করে হত্যাকান্ডের জাতিসংঘের তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। 

[৩] শনিবার সকালে বিএনপি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই দাবি জানানো হয় বলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি এ কথা বলা হয়।

[৪] এতে বলা হয়, ভারত কতৃর্ক বারবার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশী নাগরিকদেরকে হত্যার ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

[৫] মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে ৭ বছরে ২০১ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে।

[৬] বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, সিপাহী মোহাম্মদ রইসুদ্দিনকে গুলি করে হত্যার পর বিএসএফ এর পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য। একজন বিজিবি সদস্য কিভাবে লুঙ্গী আর টিশার্ট পরে পাচারকারী দলের সঙ্গে মিশে থাকতে পারেন সেটি তাদের বোধগম্য নয়। এই বয়ান শুধু বানোয়াটই নয়, ভারতীয় নীতি নির্ধারকদের বিগ ব্রাদার সুলভ গরীমা থেকে উৎসাহিত হয়ে বিএসএফ তাদের হত্যাকান্ডের পক্ষে সাফাই গাইছে।

[৭] বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, বিএসএফ এর ডেলিবারেট কিলিং এখন সর্বজনবিদিত। নিয়ন্ত্রণহীন এসব হত্যাকান্ডের আশকারা দেয়া দিল্লির উগ্রতা আর ঢাকার নীরবতা। শেখ হাসিনা দিল্লির সঙ্গে অধীনতামূলক চিরস্থায়ী রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এর ফলশ্রুতি হচ্ছে বিএসএফ কতৃর্ক সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যার ঘটনায় নিশ্চুপ থাকা। মোহাম্মদ রইসুদ্দিনকে হত্যার ঘটনা পরের দিন পর্যন্ত জানতেই পারেননি বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাবিলাসী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

[৮] সেজন্যই বাংলাদেশ সীমান্তে বেআইনী হত্যাকান্ডে তারা কোন দায়বোধ করে না। 

[৯] বিএনপি এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে। পাশাপাশি নিহত ব্যক্তির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে। সম্পাদনা : কামরুজ্জামান